জন সংলাপ ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।
কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তারা হলেন, জেলার মুরাদনগর উপজেলার দেওরা গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫), কোরবানপুর পশ্চিম পাড়া (কালীবাড়ি) গ্রামের মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০), বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে মো. ফাহাদ হোসেন (১৩) ও একই এলাকার বিলাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (১৪)।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও কটিয়াদিতে বজ্রপাতে চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন কৃষক ও একজন কৃষাণী। তারা হলেন, মিঠামইন উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম (৬৫), অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে ইন্দ্রজীত দাস (৩৬) ও একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪) এবং কটিয়াদী উপজেলার ধনকিপাড়া গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে মো. শাহজাহান (৩৮)।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামে মাদরাসায় যাওয়ার পথে বজ্রপাতে আরাফাত মিয়া (১০) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। আরাফাত ওই গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।
সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার (২২) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এ ঘটনা ঘটে। রিমন তালুকদার শাল্লা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুর্বাসা দাস (৩৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতরা হলেন, তার ভাই ভূষণ দাস (৩৪), বোন সুধন্য দাস (২৮) ও একই উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩)।
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জে গরুর জন্য ঘাস আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সেফালী বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের বেপারী কান্দি এলাকার এলাকার সোহরাব হোসেন বেপারীর স্ত্রী।
মাদারীপুর জেলার রাজৈরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কাজল বাড়ৈ (৪০) নামে আরেক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের জ্ঞান বাড়ৈর ছেলে।
যশোরের শার্শায় বজ্রপাতে আমির হোসেন (৪০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। আমির হোসেন শার্শা উপজেলার বেড়ী-নারায়ণপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- এসএম এহসান চৌধুরী
স্বত্ব সংরক্ষিত - ২০২৫