স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর জয়াগের বর্মন বাড়ির পাশের ডোবা থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ সড়কের লাগোয়া একই এলাকার আব্দুল আউয়ালের জায়গার ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।
নিহত রাহেদ পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের ইউসুফ কামালের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বর্মন বাড়ির খোকন চন্দ্রের ছেলে জুয়েল চন্দ্র বর্মন ডোবার পাশে মাছের পোনা ছাড়তে গেলে ডোবা কালো রংয়ের একটি প্যান্ট ও কোমরে গামছা পেচানো পঁচা মরদেহ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হারুনুর রশিদকে জানানো হলে তিনি সোনাইমুড়ী থানাকে অবহিত করেন। পরে এসে পুলিশ গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় সংবাদ পেয়ে পাশ্ববর্তী রামচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের ইউসুফ কামালসহ (৫৫) তার আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের পরিধানে থাকা প্যান্ট, কোমরের বেল্ট ও পুরাতন গামছা দেখে গলিত মরদেহটি তার ছেলে রাহেদ হোসেনের মরদেহ মর্মে শনাক্ত করেন।
এ সময় ইউসুফ কামাল জানান, তার ছেলে রাহেদ অটো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ২ মে রাত থেকেই রাহেদ নিখোঁজ থাকায় বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মরদেহটি পাওয়ার সংবাদ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি।
এ ছাড়া স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, গত ৮ থেকে ৯ দিন আগে জয়াগ বাজারের পশ্চিমে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাটারিবিহীন একটি অটোরিকশা সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের ধারণা, পূর্ব শত্রুতা কিংবা স্থানীয় গুরুতর কোনো অপরাধ প্রত্যক্ষ করায় অপরাধীরা রাহেদকে খুন করে এখানে মরদেহ ফেলে গেছে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ মরদেহটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- এসএম এহসান চৌধুরী
স্বত্ব সংরক্ষিত - ২০২৫