স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী:
দূর্নীতি, অনিয়ম, অনুপস্থিত, সেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ, মাদ্রাসার মার্কেটের দোকান বরাদ্দে স্বজন প্রীতি ও অবাসিক কোয়ার্টারে না থেকে বিল উত্তোলনসহ নানা অভিযোগে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর অমিশাপাড়া খলিলুর রহমান কামিল (এম.এ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জালাল আহমেদের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২ টার সময় এলাকাবাসী,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্ররা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ২ ঘন্টা ব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, ২০০২ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর অমিশাপাড়া খলিলুর রহমান কামিল (এম.এ.) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ জালাল আহমেদ যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি পার্শ্ববর্তী চাটখিল উপজেলার মল্লিকা দিঘিরপাড় মাদ্রাসায় চাকরি করাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে অভিযোগ ওঠে।এখানে যোগদান করার পর পূর্বের ন্যায় অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।দীর্ঘ বছর আওয়ামী লীগের বিতর্কিত লোকজন নিয়ে পকেট কমিটি করে এ মাদ্রাসা চালিয়ে আসছেন। গত ১৯ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে এই মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়।অধ্যক্ষের পছন্দের ব্যক্তি ও কমিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও আমেরিকান প্রবাসী ইসমাইল হোসেনকে বিদ্যুৎসাহী পদে নিয়োগ দেন।ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হওয়ার পর অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যদের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেননি তিনি। মাদ্রাসার মার্কেটের দোকানঘর রয়েছে ২০ টি। এই দোকানঘরগুলো মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য ইসমাইল হোসেনের নামে ৩ টি ও শিক্ষক আনিছুর রহমানের নামে ২ টি ঘর নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বরাদ্দ দিয়েছেন। অন্যান্য দোকানগুলো উপভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা নিজেই আত্মসাৎ করছেন। অধ্যক্ষ জালাল আহমেদ পরিবার পরিজন নিয়ে নোয়াখালী সদরে বসবাস করেন। কিন্তু, মাদ্রাসার তহবিল থেকে ১৫ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে বাসা ভাড়া নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠে।
মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ফিরোজ আলম ভুট্টু জানান, অধ্যক্ষ দীর্ঘ বছর ধরে অনিয়ম করে আসছেন। তিনি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে আঁতাত করে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি অনলাইন করতে প্রতি জন থেকে ১৬৫০ টাকা, মাদ্রাসার দিঘির সম্পত্তি নিয়ে চলমান মামলা পরিচালনার অজুহাতে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
মাদ্রাসা মার্কেটের ঔষধ দোকানদার সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অধ্যক্ষ স্থানীয় যুবলীগের নেতা নিলয়কে দিয়ে তাকে হুমকি দিয়েছেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণের প্রতিবাদে স্থানীয় এলাকাবাসী গত ৩ বছর পূর্বে আমিশাপাড়া বাজারে মানববন্ধন করা হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সুমন, তোফায়েল আহমেদ বলেন,গত দুই মাস পূর্বে এই মাদ্রাসায় অভিভাবক সদস্য পদে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। অধ্যক্ষ মাদ্রাসার কোন কর্মকান্ডে তাদেরকে অবহিত করেন না। তার পছন্দের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় মিটিং করেন।
সোনাইমুড়ীর অমিশাপাড়া খলিলুর রহমান কামিল (এম.এ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জালাল আহমেদের বক্তব্য নিতে মাদ্রাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।